Author: Gopal Biswas

মৎসকন্যা জোনাডা

ফতবর্ধা বুদিনী

আমি কবিতা লিখতে চাই, তোমার হাসির জন্য,

এবং মৃত্যুর জন্য নয় যে তোমাকে তোমার বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দিয়েছে, এখনো উন্মুক্ত হয়নি।

লিখতে চাই, আকাশের নীলতার মত তোমার চোখের উজ্জ্বলতা নিয়ে, এবং চিরকালের জন্য সমুদ্রের তীরে আটকে থাকতে হবে না ।

আমি কামনা করি তুমি নিষ্পাপ পরী প্রতিটি শিশুর মত তোমার জীবন উপভোগ করো, এবং এক ফোটা করুণা ছাড়া একটি জঘন্য রাবার ব্যান্ড থেকে মরে যেও না।

লিখে দিব চোখে জল নিয়ে, জোনাদা ও সমুদ্রের জলপরী তোমার জন্য,
যে আত্মা সমুদ্রের তীরে আনডেড দ্বারা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল।

আবার যদি ফিরে আসতে পারো বাবা মায়ের কাঁধে বিশ্রাম নিতে, একটি সুন্দর প্রজাপতির মত তোমার দুঃখ থেকে চোখের জল মুছে ফেলার জন্য।

সিরিনা জোনাডা তারা তোমাকে যে নাম

দিয়েছে,

আমরা আকাঙ্ক্ষা এবং চোখের জল নিয়ে

স্মরণ করব৷

বিদায় তুমি সুন্দর দেবদূত, অলৌকিক ঘটনা, তোমার আত্মা অনন্তকাল স্বর্গে বিশ্রাম করুক।

গর্বিত/6/8/2020

আলবেনিয়া

লেখক : ফতবর্ধা বুদিনী

দর্শন

শফি আলম

সত্যি তো সেটাই হয় দু’চোখ যেটা দেখে ,
আরো সত্যি ওটাও হয় , ঠেকে যাহা শেখে ।
ভাসা ভাসা ভাব-কথা
যতই চলুক যথা-তথা
যাচাই ক’রে দেখো আগে তারপরে মানো ,
তুমি যদি সত্য হও , তুমিই সত্য জানো ।

জীবন যায় ভেবে ভেবে ,
ভাবের জবাব কে দেবে ?
নিজের জবাব নিজে খোঁজো , খুঁজে পাবে সব
অন্যে খোঁজে তার স্বার্থে , বাড়ায় কলরব ।

বোধের বাইরে কী আছে ,
পষ্ট নয় তা ভাবের কাছে ,
আড়ষ্টতা জড়িয়ে ধরে বোধ পায় না কুল ,
ঝরার পরে কী ফল হবে জানে কি তা ফুল ?

যতই থাক বড় আয়না ,
বন্ধ চোখে দেখা যায় না ,
চোখ খুলে তাই দেখে নাও পারো যতো দিক ,
বোধের পাল্লায় ওজন করো সত্য , শুদ্ধ, , ঠিক ।

তোমাকেই বুঝতে হবে তোমার ভালো মন্দ ,
ধ্যানে জ্ঞানে দুর ক’রে দাও , আঁধার ধূসর দ্বন্দ্ব ।
নিজের বুঝ নিজে বোঝো ,
যুক্তি দিয়ে মুক্তি খোঁজো ,
আঁধার ঘরে রোদন করে মিলবে নাকো আলো,

আলোর জন্যে নিজ ঘরে নিজে প্রদীপ জ্বালো।

তারিখ – ১৭-০৮-২০২২ ,
ঢাকা-বাংলাদেশ।

আজও হয়নি দেখা

কবি এসএ খসরু ভাস্কর


বাড়ির অদূরে সবুজ মাঠের ধারে জামগাছে
পাখির কিচিরমিচির শোনার সুযোগ হয়নি আজও।
পাশের খালে ছুটে চলা জলের রূপটি দেখা হয়নি আজও।

পাহাড়ের গা ঘেঁষে হরিদ্রা ক্ষেতের পাশে
দুদণ্ড সময় কাটাইনি আজও।
দেখা হয়নি পথের ধারে ফুটে থাকা
নাম না জানা বনফুলের হাসি।

বনভূমির বৃক্ষের মর্মর ধ্বনি শুনিনি মনভরে
আজও বিশাল মাঠের পারে
হিজল গাছের ছায়ায় শোনা হয়নি
রাখিলিয়া বাঁশির সুর।
স্মৃতির দৃষ্টিতে দেখি তাই বহুদূর।
রাতজাগা হয়নি উঠোনে
বসেনি পিদিম জ্বালিয়ে পুথিপাঠের আসর।

দেখা হয়নি পাটক্ষেতের পাশে ছেলেদের তালের রসের উল্লাস !
যাওয়া হয়নি পাহাড়ের গা বেয়ে
ঝর্ণাধারার রূপটির সাথে মন মেশাতে, পুরাতে আশ।

দেখা হয়নি হাওর বাওরের পাশ গ্রামের বাউল গানের আসর।
কবিগান জারিসারির পাল্লায় রাতকাটানো রাঙাতে অন্তর।

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মোহিত হওয়ার সুযোগ হারানো
এই আমি ভিনদেশি !
শহুরে-জীবন পাঠের সুযোগ চাইনা আর।
হাঁপিয়ে ওঠা এ জীবন চায়না অন্যের রূপ দেখি আর একবার।

এলেবেলে

কবি শফি আলম 

রঙ্গ ভরা বঙ্গদেশের
আমজনতা কয় ,
এত গুড় কেমন করে
আধা সের হয় ?

সব সাপের মন্ত্র জানে
বীর বাঙ্গালি পুত,
যতই করো ঢুশঢাশ
মিলবে নাকো যুৎ।

ষোল কোটি মানুষের
কয়জনে বা জঙ্গী ?
দেখে শেখো মা বাবা
তাঁরা ও নয় সঙ্গী ।

পুরন চাল ভাতে বাড়ে
সকলেরই জানা ,
কায়দা পেলে শালা বলে
বেকায়দায় না না ।

বাগে পেলে দেয় ঢেলে
মনের যত বিষ ,
বুড়ি তখন মওকা পায়
জোরে বাজায় শিস ।

তারিখ – ০৭/০৮/২০২২
ঢাকা – বাংলাদেশ

জীবন সাগর

কবি চন্দন তুষার তপন

ওগো সাগর তোমার বক্ষমাঝে
উঠছে কত’ক ঢেউ
শুধু তুমি’ই জানো প্রবাহ তার
আর জানে না যে কেউ

উতাল হাওয়া বুক খুলে দেয়
লহরী লহরে সাজে
শব্দরূপের কান্নাও বুঝি – তাই
নিত্য হেথায় বাজে

ফোটে না পদ্ম, ফোটে নাই শালুক
সৌন্দর্যও গন্ধহীনা
কখনো দমিত কখনো’বা স্ফিত
লবণের সাদা ফেনা

প্রতীতি তোমার বোঝে না যে কেউ
রতন লুকিয়ে রাখো
গভীর তুমি গম্ভীর তুমি; মাতা
প্রশান্তেও একা থাকো

আছড়ে কূলে দুলে দুলে; তবুও
প্রাচীনা এক সীমানা
তীরে তীরে গড়া ভূমির ভূষণ
তুমি; নবীন প্রবীণা

সূর্য চাঁদে ঢেউ তুলে দেয় যদি
প্রতিদিন বার বার
ভাঙোনা’তো কূল নদীর মতন
‘তৃষ্ণা’ নদী মোহনার ।।